শিরোনাম

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম এবং একমাত্র দেশ হিসেবে সিগারেট ফিল্টারকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে।
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ)-১০ সম্মেলনে গৃহীত ডব্লিউএইচও এফসিটিসি আর্টিকেল ১৮ এর পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত কপ-১১ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই সাফল্য তুলে ধরা হয় এবং ভবিষ্যতে আইন সংশোধনসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
আজ রোববার প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত ‘ট্রান্সলেটিং ডুব্লিউএইচও এফসিটিসি কপ ডিসিশনস ইনটু অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ: এ কেস স্টাডি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবিনারে বিভিন্ন সময়ে কপ-এ অংশ নেয়া তামাকবিরোধী নেতৃবৃন্দ তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন। তারা কপ-১১ এর সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, তামাক ব্যবহার ও উৎপাদনে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি ৮৭ হাজার কোটি টাকা, যা তামাক থেকে আহরিত রাজস্বের দ্বিগুণেরও বেশি। সরকার ইতোমধ্যেই এফসিটিসি-এর আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আইন সংশোধন বিলম্বিত হলে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশদূষণ এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও বাড়বে। তাই অবিলম্বে আইনের খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিআইসি-এর সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আত্মার কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন। প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়েরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার রোকাইয়া আব্দুল্লাহ রাকা এবং মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।