বাসস
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫০

রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সন্ত্রাসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : মীর হেলাল

ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দেশে আজ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে ভয় ও সন্ত্রাসকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাস করে না, তারাই পরিকল্পিতভাবে প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ এরশাদ উল্লাহ এবং ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত সশস্ত্র হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এরশাদ উল্লাহ ও শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ বিকেলে বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নূর আহাম্মেদ সড়ক, লাভলেইন ও চেরাগী মোড় প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে ভোটের দিন ছাড়াও সমান সুযোগ, নিরাপদ প্রচারণা ও নির্ভীক রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে ধারাবাহিকভাবে ভয়ভীতি ও হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এ ধরনের হামলার দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নাজিমুর রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতনের পরও দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচনি প্রচারণার মধ্যেই এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা এবং তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচন ভন্ডুল করার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুসহ মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।