শিরোনাম

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশের এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং তিনি এখন দেশের মানুষের কাছে একজন স্বীকৃত অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তার অবস্থা খারাপ হয়নি। দেশব্যাপী মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার কারণে খালেদা জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। সবখানেই দেশনেত্রীর জন্য দোয়ার আয়োজন দেখা গেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান আল্লাহর রহমতে দেশনেত্রী আবারও জনগণের মধ্যে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দলমত নির্বিশেষে মানুষ তার সুস্থতা কামনা করছে।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অচিরেই দেশে ফিরে এসে দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবেন এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন।
আজ বিকেল ৪টায় লন্ডন থেকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার বিষয়টিও তিনি জানান।
সংস্কারের দাবি নিয়ে ছোট দলগুলোর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা সংস্কারের কথা বললেও কী ধরনের সংস্কার চায় তা স্পষ্টভাবে বলতে পারে না। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই প্রকৃত সংস্কারক ছিলেন; তিনি কখনো ঘোষণা দিয়ে নয়, বাস্তবে কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। গার্মেন্টস খাতসহ নানা খাতে তার সংস্কারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, কর্মসংস্থানসহ আটটি বিষয়ে কীভাবে কাজ করবে-তা তুলে ধরতে বিএনপি তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য ধারাবাহিক কর্মশালা আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচি শুক্রবার বাদে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এতে অংশ নেবে। কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের বাইরে অন্য কোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে।