বাসস
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৬

রাজনৈতিক স্বার্থ বা মতের কারণে অন্যের অধিকার হরণ করা যায় না : জামায়াত আমির  

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মানবাধিকার একটি মূল্যবান আমানত, সামাজিক সুবিচারের রক্ষাকবচ। রাজনৈতিক স্বার্থ বা মতের কারণে কখনো অন্যের অধিকার হরণ করা যায় না।

তিনি বলেন, সমাজে বিরোধ বা ভিন্নমত থাকতে পারে, তা সত্ত্বেও ভিন্নমতকে অপমান বা হেনস্তা করা এবং নারী ও বেসামরিক লোকদের অধিকার লঙ্ঘন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও অনৈতিক।

আজ বুধবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ সালে দিনটিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার কখনো রাজনৈতিক স্বার্থ বা মতের কারণে হরণ করা যায় না। সমাজে বিরোধ থাকলেও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অপমান, হেনস্তা, গুম, বিচারহীনতা বা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার করা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আরো বলেন, আজ গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, মিয়ানমার এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। নারী-শিশু-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী- কেউই তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। 

জামায়াত আমির বলেন, যুদ্ধবিরতির মাঝেও মানবতার সকল নিয়ম-নীতি ভূলুণ্ঠিত করে ইসরাইলি বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় গাজাবাসীকে হত্যা করছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্তমানে গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেখানকার প্রায় ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজায় চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ, খাদ্য, পানি- কোনো কিছুই ঢুকতে দিচ্ছে না মানবতার দুশমন ইসরাইলি বাহিনী। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।

তিনি বলেন, কাশ্মীর, মিয়ানমারের রাখাইন, লেবানন, ইউক্রেন, সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমরা অনতিবিলম্বে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের সকল মানবতাবাদী রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।