বাসস
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৫

‘ভ্যাট প্রদানকে প্রত্যেকের নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করা উচিত’

ছবি : বাসস

রংপুর, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কর প্রদানের সংস্কৃতি উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিককে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদানকে দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

আজ বুধবার জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষ্যে রংপুর নগরীর ‘আগামী চাষী রংপুর লিমিটেড’ সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আয়োজিত এক সেমিনারে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কাস্টমস : নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য) ড. মোহা. আল আমিন প্রামাণিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে অতিরিক্ত কমিশনার মো. খায়রুল কবির মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার মো. মহিব্বুর রহমান ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এসময় রংপুর কর অঞ্চলের কর কমিশনার মো. আবু সাঈদ সোহেল, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. এমদাদুল হোসেন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. গোলাম জাকারিয়া পিন্টু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এনবিআর সদস্য ড. মো. আল আমিন প্রামাণিক তার বক্তব্যে বলেন, রাজস্ব দেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে কর রাজস্ব থেকে এবং ২০ শতাংশ আসে কর বহির্ভূত উৎস থেকে।

তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক শক্তি মূলত কর আদায়ের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।  তিনি প্রত্যেক নাগরিককে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে ভ্যাট প্রদানকে দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণের আহ্বান জানান।

ড. আল আমিন প্রামাণিক কর কর্মকর্তাদের বলেন, দেশ গঠনে করদাতাদের ভূমিকা অপরিসীম। রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কর প্রদানের সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য সেবা প্রদানকারী ও গ্রহীতার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যাবশ্যক।

ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। সরকারের পক্ষে সংগৃহীত ভ্যাট যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সমাপনী বক্তব্যে অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর প্রদান করে আসছেন।

তিনি ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দেশের বৃহত্তর উন্নয়নের স্বার্থে নিয়মিত ভ্যাট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।