বাসস
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:১৯

রাজধানীতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৬

ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীতে পৃথক অভিযানে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি করা একটি সংঘবদ্ধ দলের ছয়জন সদস্য ও লালবাগে কারখানাকর্মী হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তার জন্য এসব অপরাধ সরাসরি হুমকি। র‌্যাব ফোর্সেস এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’

গতকাল ৯ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব- ১০ এর একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, পল্টন মডেল থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি করলে ভেতরে থাকা ছয়জন নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেয়। যাচাইয়ে তাদের পরিচয়পত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে র‌্যাব লেখা চারটি কোটি, চারটি ক্যাফ, পাঁচটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুটি হ্যান্ডকাফ, দু’টি ওয়াকিটকি সেট, একটি পিস্তলের কাভার, একটি ব্যাটন স্টিক, দু’টি অতিরিক্ত নম্বর প্লেট, পাঁচটি স্মার্টফোন, চারটি বাটন ফোন, একটি এয়ারপড, এক জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস, চারটি হাতখড়ি, নগদ ২০ হাজার ৪৫ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা মো. জুয়েল বিশ্বাস, মো. আলামিন দুয়ারী, সাজ্জাদ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, বোরহান মিয়া ও মিজান। এ ঘটনায় শহিদ মাঝি ও মামুন পরিকল্পনা করে। 

র‌্যাব জানায় এদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জুয়েল বিশ্বাস চক্রটির নেতৃত্ব দিত এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নতুনদের দলে ভেড়াত। চক্রটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল বলে র‌্যাব জানায়।

একই দিনে দুপুর ৩টার দিকে লালবাগের শহীদনগর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় কারখানাকর্মী মোহাম্মদ হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে র‌্যাব-১০ এবং লালবাগ থানার যৌথ অভিযানে কেরানীগঞ্জ থেকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আবিরকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।