শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অন্তর্বর্তী সরকার আগামী নির্বাচনের যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে বিষয়ে এনসিপির কোন দ্বিমত অথবা সন্দেহ নেই। কিন্তু কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে যাবে তা প্রত্যাশা করি না। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ডের মাধ্যমে নির্বাচন হোক।
সারজিস বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যদি নির্বাচন হয় তাহলে আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই ঠাকুরগাঁও জেলার উপজেলাসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করব। এ বিষয়ে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ আসন্ন নির্বাচনে আমাদের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী হতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতিযোগিতার যে সরল সমীকরণ ছিল, তা আর এবার থাকবে না। বরং দ্বিতীয় শক্তিশালী কোন রাজনৈতিক দল নির্ধারণ করবে আগামী নির্বাচনে সরকারের প্রতিনিধিত্ব কে করবে সেটি।
সারজিস আলম বলেন, সংস্কারের পক্ষে যারা আছে সেই ধরনের দলগুলোকে নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠন করেছি। আশা করছি সামনে আরও রাজনৈতিক দল মিলে জোট তৈরি করে একক মার্কা নিয়ে আগামী নির্বাচনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, মাঠের পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার জনগণ জুলুম ও অপকর্মকারীদের বয়কট করছে। যারা মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়ছে। এনসিপি একটি মধ্যমপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে সেই সুযোগটা নিতে চায়।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে সংস্কারের পক্ষে এবং যেকোন পরশক্তি ও আধিপত্যবাদের বিপক্ষে আমরা একটি রাজনৈতিক দল দাঁড় করাবো। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের পূর্বের মানসিকতা ছাড়তে পারেনি। তারা মনে করে ক্ষমতায় গেলেই তারা পেশীশক্তি প্রয়োগ করবে, কালো টাকার খেলা দেখাবে এবং প্রশাসনকে নিজেদের মত ব্যবহার করবে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় পুলিশের কিছু সদস্য এখনও টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা অপরাধীকে ছেড়ে দেন এবং নিরাপরাধকে আটক করেন। ওসি, এসপি, ডিআইজি বা যত বড়ই কর্মকর্তাই হোক না কেন, কেউ যদি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সারজিস বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও অজানা কারণে তিনি (তারেক রহমান) দেশে আসছেন না। আমরা মনে করি তিনি এলে কোন সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই।
এনসিপি মনে করে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সুন্দর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। কেউ যদি কোনপ্রকার অপ্রত্যাশিত কাজ করে অথবা ষড়যন্ত্র করার অপচেষ্টা করে তাহলে ফ্যাসিস্টবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সে সুযোগ দিবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক কৃষিবিদ গোলাম মর্তুজা সেলিম, ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম, সদস্য সচিব খলিলুর রহমান প্রমুখ।