বাসস
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৩২

এক্সপ্রেসওয়ে পুনর্বাসন ফ্ল্যাটে অনিয়ম: ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগৃহীত জমিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট বরাদ্দের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান- দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করবেন। আজ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আব্দুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক অর্থ সচিব ও সাবেক সিএজি মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য (সচিব) মিজ জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

দুদকের নথি থেকে জানা যায়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও পরবর্তীতে তা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীদের জন্য ৯৯ বছরের লিজে আবাসন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ আইন-২০১৭ এর ১৯(১) ধারা অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে, যা আইনবহির্ভূত।

এছাড়া, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৬ এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ী শুধুমাত্র অস্থায়ী ইজারা প্রদানের বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষের ১০৬ ও ১০৭তম বোর্ড সভায় ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর ও প্রকল্পের স্থায়ী কর্মচারীদের জন্য নির্মিতব্য ফ্ল্যাট দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়। এই নীতিমালা প্রণয়নে সরকারি গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে দুদক নথিতে উল্লেখ করে।

দুদকের নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় আইনবহির্ভূত নীতিমালা প্রণয়ন করে দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।