বাসস
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০৭

চারণকবি বিজয় সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল

ফাইল ছবি

নড়াইল, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : একুশে পদকপ্রাপ্ত চারণকবি বিজয় সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল (৪ ডিসেম্বর)। 

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও চারণকবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, বেলা ৩টায় কবিতা আবৃত্তির আসর, ৪টায় উন্মুক্ত বিজয়গীতি পরিবেশনা, সন্ধ্যা ৬টায় কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

চারণকবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকরাম শহীদ চুন্নু জানান, একুশে পদকপ্রাপ্ত চারণকবি বিজয় সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরস্রষ্টা কবিয়াল বিজয় সরকার ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী এবং মার নাম হিমালয়া দেবী। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।

অজপাঁড়াগায়ে জন্মগ্রহণ করেও তিনি (বিজয় সরকার) লোকসঙ্গীত ও কবিগান রচনা করে ও গেয়ে সবার মাঝে আলো ছড়িয়েছিলেন। তাঁর রচিত আধ্যাত্মিক গান আজও সবার মনে-প্রাণে নাড়া দেয়। গান রচনার মধ্য দিয়ে তিনি সমাজ থেকে কুসংস্কার দুর করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজয় সরকারের ভক্তরা তার গানের স্বরলিপি সংরক্ষণ, ডুমদীতে বিজয় স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ ও নড়াইলে বিজয় সরকারের নামে ফোকলোর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানিয়েছেন।

বিজয় সরকার একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের গানসহ প্রায় ১ হাজার ৮০০ গান লিখেছেন তিনি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কি ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন তিনি।

১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর বার্ধ্যকজনিত কারণে ভারতের হাওড়ায় পরলোকগমন করেন। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়।