শিরোনাম

খুলনা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে জনগণের অংশগ্রহণই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য সুশাসন, সততা ও নৈতিকতার ভিত্তি শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আজ বিকেলে খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি আয়োজিত হয় ৮ দলের যৌথ উদ্যোগে উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবির পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম।
সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির আল্লামা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাগপার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।
দুপুরে পবিত্র কোরান তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, শান্তি, সামাজিক স্থিতিশীলতা, নৈতিকতা, শিক্ষা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
বক্তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, সমাজে নৈতিকতার চর্চা এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। মাদক, সহিংসতা, অপরাধ ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সমন্বিত উদ্যোগকে অপরিহার্য বলে তারা মত দেন। একই সঙ্গে একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রতি তারা নজর আকর্ষণ করেন।
ডা. শফিকুর রহমান তরুণ প্রজন্মকে দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি উল্লেখ করে বলেন, আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য তাদের দক্ষ, যোগ্য ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে ওঠা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যদি নিজেদের যোগ্যতা ও সততার সঙ্গে এগিয়ে আসে তবে দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সমাবেশে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, জনগণের ঐক্য, মূল্যবোধ ও শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি সুসংহত, ন্যায়ভিত্তিক ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে।
তারা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।