বাসস
  ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩২
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৮

কড়াইল বস্তির ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে দ্রুত তালিকা প্রণয়নের দাবি জোনায়েদ সাকির

ছবি : গণসংহতি আন্দোলন

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কড়াইল বস্তিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনে দ্রুত তালিকা প্রণয়ন ও ত্রাণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারি জোনায়েদ সাকি।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কড়াইল বস্তির রাহাত আলী শাহ (র.) খানকাহ প্রাঙ্গনের পাশে স্থাপিত গণসংহতি আন্দোলনের রিলিফ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি জানান।

এখানকার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলা এবং খোলা আকাশের নিচে থাকা মানুষগুলোর জন্য অবিলম্বে তাঁবু খাটিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা। ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে খাবার, আশ্রয়, শীতবস্ত্র, চিকিৎসাসহ সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোদের নতুন কার্ড দ্রুত ইস্যু করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি ও দোকান মালিকদের পুনর্বাসনে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানান।

ঢাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও নীতিনির্ধারকদের ‘গণবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি’কে দায়ী করে তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের নিরাপদ আবাসন ও সেবা-সুবিধা নিশ্চিত না হলে শহরের উন্নয়নের কোনো অর্থ নেই। কড়াইলের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত আলোচনা বা কার্যকর উদ্যোগ না থাকাকে তিনি নিন্দা জানান।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা শর্ট-সার্কিটকে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপদ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস আগে কড়াইলে গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়ার পর নিরাপদ জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

অগ্নিকাণ্ডে বাসিন্দারা সর্বস্বান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ঘরবাড়ি, দোকান, সঞ্চয় সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট হয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জিএসএ নেতা শাহীদা আক্তার, মোহাম্মদ মোতালেব, আবুল কালাম, আবদুর রহিম, বাচ্চু ভুইয়া, আলিফ দেওয়ান, মনিরুল হুদা বাবন, আমজাদ হোসেন, সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন, তাহসিন মাহমুদ, আবু রায়হান খানসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর নেতারাও অংশ নেন।