বাসস
  ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:০০

টেকসই প্রাণিসম্পদ খাত সম্প্রসারণে উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়ন জরুরি

পিকেএসএফ ভবনে ‘বাংলাদেশে টেকসই প্রাণিসম্পদ খাত সম্প্রসারণে গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস বাস্তবায়ন’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত। ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে উত্তম কৃষি চর্চা বা গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস (জিএপি) বাস্তবায়ন জরুরি।

বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ‘বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস ফর লাইভস্টক’ নীতি প্রণয়ন সময়ের দাবি।

আজ পিকেএসএফ ভবনে ‘বাংলাদেশে টেকসই প্রাণিসম্পদ খাত সম্প্রসারণে গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস বাস্তবায়ন’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল হক বলেন, আমরা দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ প্রাণিজ পণ্য উৎপাদনে এখনও পিছিয়ে আছি। দেশের উপযোগী মানদণ্ড তৈরিসহ যথাযথ সনদায়নের ব্যবস্থা করলে খামারিদের উপকার হবে। প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ. বি. এম. মুস্তানুর রহমান টেকসই খাত গঠনে দেশীয় প্রেক্ষাপটে ‘গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস ফর লাইভস্টক গাইডলাইন’ তৈরি ও ব্যাপক প্রচারের ওপর জোর দেন।

পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আহসান কবির। তিনি বলেন, দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈশ্বিক জিএপি-এর অনুসরণ অপ্রতুল। খামার ব্যবস্থাপনা, প্রাণিজ পণ্য উৎপাদন, পরিবেশ সুরক্ষা, মানসম্মত ভ্যাকসিন ও ভেটেরেনারি সেবার স্বল্পতার ঘাটতি এখনও স্পষ্ট। ফলে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ‘বাংলাদেশ গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস ফর লাইভস্টক’ নীতি প্রণয়ন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পিকেএসএফ দেশব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে খামারে আইওটি প্রযুক্তি, দুগ্ধ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ, ভ্যাকসিন হাব এবং প্রাইভেট ভেটেরেনারি ল্যাব সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।