শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ইতিহাস, স্মৃতি আর আত্মপরিচয়ের আবহে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলমান বিজয় বইমেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে পাঠক ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা। বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের সক্রিয় উপস্থিতিতে মেলাপ্রাঙ্গণ ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ। বইয়ের স্টল ঘিরে তরুণদের ভিড়, পছন্দের বই খোঁজার ব্যস্ততা বই মেলাকে একটি নতুন রূপ এনে দিয়েছে।
বিজয় বইমেলার নবম দিনে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো বেড়ে যায়। ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, প্রবন্ধ ও গবেষণাধর্মী বইয়ের স্টলগুলোতে তাদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি। কেউ তালিকা ধরে বই কিনছেন, কেউ এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘুরে নতুন বইয়ের সন্ধান করছেন। অনেক তরুণকে দেখা যায় বইয়ের পাতা উল্টে বিষয়বস্তু যাচাই করতে, আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে বই নিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত।
বইমেলায় কথা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিজয় বইমেলা আমাদের জন্য শুধু বই কেনার জায়গা নয়। এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসকে নতুনভাবে জানার সুযোগ পাই। পাঠ্যবইয়ের বাইরে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারি, যা আমাদের চিন্তাকে সমৃদ্ধ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির রায়হান বলেন, প্রতিবছর কেবল অমর একুশে বইমেলা আমরা দেখতে পাই। বিজয় বইমেলা একটি নতুন সংযোজন। আশা করি, এই মেলা আগামীতেও চালু থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অমর একুশে বইমেলা কেন্দ্র করে অনেক লেখক বই লেখে। বিজয় বইমেলা চালু থাকলে আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করার আগ্রহ লেখকদের মধ্যে আরো বেশি চালু থাকবে বলে বিশ্বাস করেন আবির।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই বইমেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের বিজয় বইমেলায় মোট ১৭০টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে দেশের শীর্ষ ১৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতি কর্মদিবসে বেলা আড়াইটা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।