শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমের মতো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিলেন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সাহসী বীর শহীদ ডা. মিলন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী সন্তান আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমের মতো অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিলেন ডা. মিলন। যা আমাদের চেতনার বারুদে, আমাদের ক্ষোভের বারুদে, আমাদের ক্রোধের বারুদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। আর সেই বিস্ফোরণে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতায় জোর করে চেপে বসা স্বৈরশাসক।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কারণে সকল স্তরের জনগণের মনে প্রচন্ড ক্ষোভের জন্ম হয়েছিল। সেই ক্ষোভের বারুদে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঢেলেছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিমের মতো বীর সন্তানেরা। তেমনি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিলেন মিলন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি প্লট বরাদ্দের মামলায় হাসিনার ২১ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার, তার আমলে আইন আদালত, এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, হাসিনার করা আদালত, হাসিনার গড়া ট্রাইব্যুনাল এবং স্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তার বিচার হচ্ছে। এখানে প্রভাবিত করার কোনো বিষয় নেই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান।
সঞ্চালনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন।