শিরোনাম

মো. তানভীর হায়াত খান
নেত্রকোণা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন রোয়াইলবাড়ি দুর্গ পূর্ণাঙ্গ খননে উন্মোচিত হতে পারে বাংলার অজানা ইতিহাস। রোয়াইলবাড়ি দুর্গটি একটি প্রাচীন দুর্গ ও ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বলে মনে করা হয়। বাংলার প্রাচীন শাসনকর্তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের এ স্থাপনাটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এটি সুলতানি আমলের স্থাপনা। আবার কেউ কেউ এটিকে কোনো মোগল সেনাপতির তৈরি স্থাপনা বলেও মনে করেন।
শ্রী কেদারনাথ মজুমদার প্রণীত ‘ময়মনসিংহের ইতিহাস ও ময়মনসিংহের বিবরণ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈশা খাঁ নাসিরুজিয়াল পরগনা ও রোয়াইল বাড়ি জয় করেছিলেন এবং এ আবাসভূমিটি ছিল দেয়ালঘেরা। মুসলিম যুগের শুরুতে রোয়াইলবাড়ি দুর্গটি সৈন্যবাহিনী এবং পদাতিক বাহিনীর আউটপোস্ট বা সীমান্ত চৌকি ছিল বলে ধারণা করা হয়।
আশির দশকে রোয়াইলবাড়ি দুর্গের সন্ধান পাওয়া যায়। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর একে সংরক্ষিত প্রত্নতত্ত্বস্থল হিসেবে নথিভুক্ত করে। নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়ায় অবস্থিত এটি একটি প্রাচীন দুর্গ ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি ‘কোটবাড়ি দুর্গ’ নামেও পরিচিত। এটি বেতাই নদীর তীরে কেন্দুয়া উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রোয়াইলবাড়ি নামক স্থানে অবস্থিত।
দুর্গটিকে কেন্দ্র করে প্রথম উল্লেখযোগ্য সরকারি কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে, এ বছর স্থানটি সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সংরক্ষিত ঘোষণার পর ১৯৯১-১৯৯২, ১৯৯২-১৯৯৩, ১৯৯৩-১৯৯৪ এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দুর্গের বুরুজ ঢিবি ও দক্ষিণ সীমানা প্রাচীরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খনন কাজ পরিচালনা করে ও দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এবং একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষসহ দুটি ঢিবি উন্মোচন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্-এর পুত্র নসরত শাহ্এ অঞ্চলে বসবাসের সময় দুর্গটি তৈরি করেন। পরবর্তীতে ঈশা খাঁ ও তার পরবর্তী শাসকের আমলেও দুর্গে ব্যাপক সম্প্রসারণের কাজ করা হয়।
৪৬ একর জমির উপর অবস্থিত পুরো দুর্গটি পূর্ব-পশ্চিম দিকে লম্বা ও প্রাচীর দ্বারা বিভক্ত। দুর্গটি উত্তর দক্ষিণে ৫৩৩.২৩ মিটার ও পূর্ব পশ্চিমে ৩২৭.৫৭ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। দুর্গের প্রাচীর নির্মাণে ইট ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও দুর্গে রয়েছে একটি পুকুর, দুটি ঢিবি, একটি কবরস্থানসহ বেশকিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ। খননকাজ পরিচালনাকালে এখানে ইটের ভগ্নাংশ, পাথরের খণ্ড, মৃৎপাত্রসহ বেশ কিছু প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে।
এই দুর্গের ডেঙ্গু মিয়া ও নিয়ামত বিবির মাজার (প্রত্নতাত্ত্বিক খননের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্বাচিত প্রত্নতত্ত্বস্থলটির নাম সরকারি প্রজ্ঞাপন ও গেজেট অনুযায়ী ডেঙ্গু মিয়া ও নিয়ামত বিবির মাজার) নামক সম্ভাবনাময় প্রত্নঢিবিটিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খননের ফলে বিভিন্ন স্থাপত্যিক কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু, উন্মোচিত কাঠামোর স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ও অন্যান্য স্থাপনা বিবেচনায় ধারণা করা যায় যে, রোয়াইলবাড়ি দুর্গ আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ১৪ শতকের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিল। এই সময়ের অগ্রবর্তী সৈন্যদলের কবর হতে পারে এই কবরগুলো।
ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত খননে দুর্গের মূল কাঠামো, সিংহদ্বার, বুরুজ, পুকুর, পরিখা, সুড়ঙ্গপথ এবং মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
২০১৬ থেকে ১৭ সালের খননে চারটি ১০ কিনারা বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, জ্যামিতিক মোটিফ অঙ্কিত পাথর, মুসলিম যুগের টাইলস, মৃৎপাত্রের টুকরা এবং লোহা থেকে নির্মিত স্থাপত্য উপকরণ পাওয়া গেছে। যা বাংলার অন্যান্য প্রাচীন দুর্গ থেকে রোয়াইলবাড়িকে আলাদা করেছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গটির স্থাপত্যশৈলী ও উপকরণ বিশ্লেষণে এটি ১৫ শতকের শেষভাগে নির্মিত। একে সুলতানি আমলের শেষ ও মোগল যুগের প্রারম্ভিক সময়ের সামরিক স্থাপনা বলে ধারণা করা হয়।
নদী সংলগ্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বারদুয়ারি, প্যারেড গ্রাউন্ডসহ বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক আউটপোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
গবেষকদের মতে, সম্পূর্ণ খনন ও সংরক্ষণ কাজের মাধ্যমে বাংলার মধ্যযুগীয় সামরিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের আরও অজানা তথ্য উদ্ঘাটিত হবে। সম্পূর্ণ এলাকায় খনন পরিচালনা করা হলে রোয়াইলবাড়ি দুর্গের সঙ্গে তৎকালীন পূর্বুবাংলার সামরিক নেটওয়ার্ক, নদী-ভিত্তিক বাণিজ্যপথ নিয়ন্ত্রণ ও ঈশা খাঁ পরবর্তী আঞ্চলিক ক্ষমতা বিকাশের তথ্যও উঠে আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এলাকাবাসী এ পুরাকীর্তিটিকে 'ঈশাখার দুর্গ' হিসেবে জানেন। স্থানীয় ঐতিহাসিকের মতে, ১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্ কামরূপের রাজা নিলাম্বরের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ পরিচালনা করে কামরূপ রাজ্য অধিকার করেন। পরে তাঁর পুত্র নছরৎ শাহ্ কামরূপ রাজ্য শাসন করেন। এর কিছুদিন পর তিনি প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে বিতাড়িত হন এবং কামরূপ থেকে পালিয়ে এসে পূর্ব ময়মনসিংহের (বর্তমান নেত্রকোণা জেলার অন্তর্গত) রোয়াইলবাড়িতে আশ্রয় নেন। তখন তিনি এ অঞ্চলটির নামকরণ করেন 'নছরৎ ও জিয়াল' (কারও কারও মতে-'নছরৎ আজিয়াল')। পরবর্তীতে তাঁর শাসনান্তর্গত সমস্ত প্রদেশটিই (বৃহত্তর ময়মনসিংহ) 'নছরৎশাহী পরগনা' নামে পরিচিত হয় এবং আকবর শাহ এর সময় পর্যন্তও পরগণাটি ওই নামেই পরিচিত ছিল। এরপর আলী ঈশা খাঁ এ অঞ্চলে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি ও নেত্রকোণার রোয়াইলবাড়ি দুর্গের নিয়ন্ত্রণ নেন। স্থানীয়রা জানান, রোয়াইলবাড়ি থেকে জঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তাও ছিল, যা এখন পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
২০১৭ সালে পরিচালিত খনন কাজের তদারককারী কর্মকর্তা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক মাহবুব উল আলম বাসসকে বলেন, স্থাপত্যশৈলী এবং উদ্ধার করা জিনিসপত্র দেখে মনে হয়েছে, এটি ১৫ শতকের শেষ দিকে, অর্থাৎ মোঘল আমলের আগে এবং সুলতানি আমলের শেষের দিকে নির্মিত। এ হিসেবে এটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরোনো। ধারণা করা যায়, এটি সৈন্যবাহিনী বা পদাতিক বাহিনীর আউটপোস্ট ছিল।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সেখানে খনন কাজ চালায়। এ সময় মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে ইটের দেয়ালবেষ্টিত দুর্গ, মূল প্রবেশদ্বার (সিংহদ্বার), বহু কক্ষবিশিষ্ট একাধিক ইমারতের চিহ্ন, শান বাঁধানো ঘাটসহ দুটি বড় পুকুর, দুটি পরিখা, বুরুজ ঢিবি বা উঁচু ইমারত (টাওয়ার), বার দুয়ারি ঢিবি, কবরস্থান, মসজিদ, মিহরাব, চওড়া প্রাচীর, সুড়ঙ্গপথ, লতাপাতা ও ফুল-ফলে আঁকা রঙিন প্রলেপযুক্ত কারুকাজ, পোড়ামাটির অলংকৃত ইট, টালি, জ্যামিতিক মোটিফ, টেরাকোটা, বর্শা, প্রস্তরখণ্ড এবং লোহা ও চিনামাটির নানা জিনিসপত্র।
সরেজমিন দেখা গেছে, সমস্ত দুর্গ এলাকাটি তিনভাগে বিভক্ত। মূল দুর্গের পূর্বদিকে দুটি পুকুর, যার অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান। দক্ষিণ দিকের মাটির দেয়ালের দু'পাশে দুটি পরিখা। একটি পরিখা বেতাই নদী থেকে আসা নৌযানসমূহ নোঙর করার জন্য ব্যবহৃত হতো বলে অনুমান করা হয়। ধারণা করা হয়, দুর্গের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে বড় বড় পাথর খণ্ড দিয়ে নির্মিত আরও দুটি প্রবেশ পথ ছিল। দুর্গের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষিত এলাকার উত্তরাংশে ছিল একটি বুরুজ ঢিবি (উঁচু ইমরাত বা টাওয়ার), একটি প্রবেশপথ ও কবরস্থান। এছাড়াও বুরুজ ঢিবির পাশে রয়েছে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ, সমান্তরাল তিনটি দেয়াল, প্রবেশদ্বার, ওয়াচ টাওয়ার (পর্যবেক্ষণ চিলেকোঠা) ও চওড়া সিঁড়ি। কারুকার্যখচিত যে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে; অনেকের মতে-এটিই দেওয়ান জালাল নির্মিত 'মসজিদ-এ জালাল' বা 'জালাল মসজিদ'।
রোয়াইলবাড়িতেই দুর্গ কেন গড়ে উঠে সে প্রসঙ্গে লেখক ও গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব জানান, "আমাদের ধারণা এ পানি অধ্যুষিত অঞ্চলটাকে জলদস্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্যে রোয়াইলবাড়ি দুর্গ, কেল্লা তাজপুর দুর্গ, পুখুরিয়া দুর্গ, মোহনগঞ্জের দিকে বেতাম দুর্গ নামে দুর্গগুলো গড়ে উঠে এবং পরবর্তী সময়ে হয়ত যুদ্ধের কৌশল হিসেবে দুর্গগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন বেতাই নদীর ঘাটটি হয়ত সেনাবাহিনী দুর্গের কাজে ব্যবহার করতো। তার পাশেই একটি কুচকাওয়াজের মাঠ, পুকুর, পরিখা, চারটি মেহরাব, চারটি দরজা সম্বলিত একটি মসজিদ, মসজিদের যে গঠনশৈলী তা দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন যে এটা সুলতানি কিংবা মোঘল আমলের। তবে স্থানটি দেখে যতটুকু বুঝা যায় যে সমগ্র রোয়াইলবাড়ি অঞ্চলটিই হয়ত একটা বড় ধরনের দুর্গ ছিল।
খনন কাজ এখনো শেষ হয়নি, তবে সমস্ত খনন কাজ শেষ হলে পুরো গ্রামটিই একটি দুর্গ ছিলো বলে প্রমাণিত হতে পারে বলে আশা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
লেখক ও সাংবাদিক সঞ্জয় সরকার জানান,"রোয়াইলবাড়ি ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটিকে আমরা রোয়াইলবাড়ি দুর্গ হিসেবেই চিনি। স্থানীয়ভাবে এটাকে কেউ ইশা খাঁর দুর্গ বলেন, কেউ নসরত শাহের দুর্গ বলেন। নানা কিংবদন্তি আছে জায়গাটাকে কেন্দ্র করে। , আলাউদ্দিন,আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দে কামরূপ রাজ্য অধিকার করেন, তার পরবর্তী সময়ে নসরত শাহ এ রাজ্য শাসন করেন, নসরত শাহের নামে এ অঞ্চলে একটি পরগনা ছিলো নাম ছিল নসরৎ আজিয়াল, ধারণা করা হয় বা কোন কোন ঐতিহাসিকদের মতে নসরত শাহ, যখন কামরূপে প্রতিপক্ষের আক্রমণে পরেন তখন তিনি পূর্ব ময়মনসিংহের এই রোয়াইলবাড়িতে এসে আশ্রয় নেন এবং এ দুর্গটা গড়ে তুলেন। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি তারাও অনুমান করেন যে আনুমানিক পনেরোশত শতকের শেষ দিকে অর্থাৎ মোঘল আমলের শুরুর দিকে এবং সুলতানি আমলের শেষের দিকে দুর্গটা তৈরি করা হয়।"
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বাসসকে বলেন, এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, তাই এটি সংরক্ষণের সম্পূর্ণ এখতিয়ার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বাসসকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্বস্থলসমূহের সংস্কার-সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২ বছরের মধ্যে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন করা হবে। এরপর প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে আগামীতে সংস্কার সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, ১৯৯১ থেকে ৯৩ ও ২০১৭ সালে খনন ও সংরক্ষণ কার্যক্রম এবং খননকালে পাওয়া ইট-পাথরগুলো অস্থায়ীভাবে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। এই দুর্গের ডেঙ্গু মিয়া ও নিয়ামত বিবির মাজার নামক সম্ভাবনাময় প্রত্নঢিবিটিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে খনন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই স্থানটির সংস্কার সংরক্ষণ ও সংলগ্ন বারোদুয়ারি মসজিদ চত্বরের ভূমি উন্নয়ন করে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এই স্থানটি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।