শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : তথ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সময়মতো পোস্ট এনুমারেশন চেক (পিইসি) সম্পন্ন করা, এনুমারেটরদের জন্য স্বচ্ছ গাইডলাইন প্রণয়ন এবং প্রশিক্ষণ ব্যয়কে যথাযথভাবে মূল্যায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
তারা উল্লেখ করেন যে, ছয় মাসের বেশি সময় পর পিইসি হলে বাস্তবতার সাথে ফারাক বাড়ে। তাই ৯০ দিনের মধ্যে অথবা আরও কম সময়ের মধ্যে এ যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।
চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর গুণগত মান যাচাই করতে পিইসি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই পিইসি প্রতিবেদনটি তৈরি করেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইডিএস ভবনে আয়োজিত সেমিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর মত জটিল ও শ্রমসাধ্য শুমারি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সক্ষমতার প্রশংসা করেছেন বক্তারা।
বিআইডিএস’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. একে এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব এসএম শাকিল আকতার এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
পিইসিতে দেশের আট বিভাগ থেকে ৩৫২টি নমুনা এলাকা নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০০, চট্টগ্রামে ৬৩, রাজশাহীতে ৪৮, খুলনায় ৪২, রংপুরে ৪০, ময়মনসিংহে ২৪, বরিশালে ১৯ এবং সিলেটে ১৬টি এলাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার বলেন, এনুমারেটর এনগেজমেন্টের জন্য একটি মানসম্মত, প্রকাশিত ও স্বচ্ছ গাইডলাইন প্রণয়ন জরুরি। যাতে সবাই একই মানদণ্ডে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ পেয়ে মাঠে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যয়কে খরচ মনে না করে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মানুষ তাৎক্ষণিক লাভে বেশি আগ্রহী হলেও দীর্ঘমেয়াদে তথ্য প্রদান দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে কতটা সহায়তা করে-সেটা বোঝাতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিকল্প বিশ্লেষণ বা ‘উইথ অ্যান্ড উইদাউট’ অপশন রাখলে ফলাফল আরও নির্ভুল হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা সচিব এসএম শাকিল আকতার বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি সাধারণ শুমারির তুলনায় বেশি জটিল ও সংবেদনশীল, বিশেষত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অস্থায়ী স্থাপনা ও পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে। তিনি বলেন, ‘কাভারেজে স্বল্প বিচ্যুতি থাকা স্বাভাবিক, তবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ৫ শতাংশের মধ্যে থাকলে তা গ্রহণযোগ্য।’
তিনি বলেন, পিইসি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সঠিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু প্রতিষ্ঠান কাজ করার দাবি করলেও বাস্তবে নির্ভুলতা, কারিগরি দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিআইডিএস কর্তৃক সম্পাদিত পিইসি’র প্রশংসা করেন।