বাসস
  ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০৩

শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ আপসহীন নেতা ছিলেন : ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ইসলামী আন্দোলনের এক আদর্শনিষ্ঠ ও আপসহীন নেতা ছিলেন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তার বলিষ্ঠ ভূমিকা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের অবদানের কথা স্মরণ করে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জামায়াতের আমীর আরও বলেন, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে ৪ দলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে তিনি সততা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সরকার জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয় এবং দলীয়ভাবে সাজানো মিথ্যা সাক্ষের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিরুদ্ধে পূর্বের রায়গুলো ছিল অসৎ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অন্যায় ও প্রহসনমূলক। এছাড়া যে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল, তিনি নিজেই দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। যিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, তার বিচারও ন্যায়ভ্রষ্ট। একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুজাহিদসহ জামায়াতে ইসলামী’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আজকের এইদিনে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে একদিন এ দেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। জাতি আজ গভীরভাবে তার শূন্যতা অনুভব করছে। তিনি মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।