শিরোনাম

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে অপহরণ করে দেশে তার স্ত্রী ও শ্বশুরের কাছ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন মো. জিয়াউর রহমান (৪২)। সিআইডির এলআইসি ইউনিট গতকাল মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর মেয়ের জামাই রাসেল প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেছেন। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সকালে রাজধানী রিয়াদের বাসা থেকে বের হওয়ার পর অজ্ঞাতনামা একটি চক্র তাকে অপহরণ করে। পরে ইমো আইডি ও ভিওআইপি কলের মাধ্যমে রাসেলের বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় এবং টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা বিকাশ, নগদসহ এমএফএস অ্যাকাউন্ট ও কয়েকটি ব্যাংক হিসাব সরবরাহ করে।
পরবর্তীতে সাইফুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা রাসেলকে রিয়াদের একটি সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিরাপদে ফিরে তিনি ঘটনাটি পরিবারকে জানান। পরে তার শ্বশুর খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
এতে আরও বলা হয়, তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে দেশ-বিদেশে জড়িতদের শনাক্তে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে সিআইডি জানতে পারে—গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমান মুক্তিপণের অর্থ লেনদেনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কমিশন হিসেবে ৫ লাখ টাকা পান। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে। গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ ও রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।