শিরোনাম

ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অবৈধ গ্যাস সংযোগ শনাক্ত ও উচ্ছেদে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস পৃথক অভিযান চালিয়েছে।
সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় ইছাপাড়া ও সোনারগাঁও থানার সংলগ্ন এলাকায়।
সেখানে ১টি চুনা কারখানা, ১টি ঢালাই কারখানা, ১টি খানাঢুলি কারখানা ও ১টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ৩৫ ফুট এমএস পাইপ, ৩টি বার্নার, একটি ১০ কিলোওয়াট ডিজেল জেনারেটর এবং ২টি পাথর ওজন করার যন্ত্র জব্দ করা হয়। এ সময় চুনা কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর চুন ও ঢালাই কারখানাগুলো ভেঙে ফেলা হয় এবং চুন বিনষ্ট করা হয়।
একই দিন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের মর্ডান হাউজিং, পঞ্চবটি ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অনুমোদনের অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৩টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি ১৬টি আবাসিক সংযোগের প্রায় ৩০০টি ডাবল চুলা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি ব্যাসের প্রায় ৩৫০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এরপর, ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৬ এর আওতাধীন মিরপুর-১ এ ন্যাশনাল ওয়াশিং প্লান্টে একটি গ্যাসবিহীন পরিত্যক্ত সার্ভিস লাইনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং সেটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ৭৫ ফুট এমএস পাইপ ও একটি রেগুলেটর জব্দ করা হয়।
এছাড়াও, চন্দ্রা অঞ্চলের সফিপুর পূর্বপাড়া ও মন্ডলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাতজন অবৈধ আবাসিক ব্যবহারকারীর মোট ৯৪টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ৪টি রেগুলেটর জব্দ করা হয়।
আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, আশুলিয়া এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ছাড়াই অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইউসুফ মার্কেট এলাকার প্রায় ২৫টি বাড়িতে আনুমানিক ২০০টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ ফুট এমএস পাইপ জব্দ করা হয়। এতে মাসিক দুই লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকার গ্যাস চুরি রোধ সম্ভব হয়েছে। ওই এলাকায় গত সপ্তাহেও অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
জামগড়া, আশুলিয়ায় মিজান সিএনজি-তে বকেয়া থাকার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হয়।
তিতাস গ্যাস জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৪১৯টি শিল্প, ৫৪৪টি বাণিজ্যিক এবং ৭৫ হাজার ৩৪৮টি আবাসিকসহ মোট ৭৬ হাজার ৩১১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।