বাসস
  ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৪৯

ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা সফল করার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। 

তিনি বলেছেন, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের ভিত্তি। আর এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের যে পথরেখা, তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে সফল করতে হবে।

আজ শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক দল হিসেবে এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সমাবেশ শেষে দলের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে নেতাকর্মীরা মাথায় মাথাল পরে, হাতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে এক উৎসবমুখর শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, বাংলামোটর ও মগবাজার এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মাথাল গণসংহতি আন্দোলনের দলীয় প্রতীক। 

সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ যাতে ঐক্যে কোনোভাবে ফাটল ধরাতে না পারে, এর জন্য আপনাদের সদা প্রস্তুত, সদা সতর্ক এবং সদা চেষ্টা করে যেতে হবে। 

গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ২০০২ সালে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে গণসংহতি আন্দোলন। এরপর থেকে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, দেশের মানুষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পাটাতন সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল মানুষের নিপীড়ন-নির্যাতনের ইতিহাসকে অস্বীকার করে যারা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তৈরি করতে চান, তাদেরকে আমরা বলব মানুষকে একে অপরের মুখোমুখি করবেন না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, মনির উদ্দীন পাপ্পু, হাসান মারুফ রুমী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।