শিরোনাম

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পরিবেশ অধিদপ্তর আজ লালমনিরহাট, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযানকালে শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে জরিমানা আদায় ও হর্ন জব্দ করে আদালত।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তর লালমনিরহাট, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
শব্দদূষণ বিরোধী তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯টি মামলা দায়ের করে ১১ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয় এবং ১৪টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
একই সঙ্গে কয়েকজন যানবাহন চালককে সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে লালমনিরহাট জেলায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণ করার দায়ে পরিচালিত অভিযানে ৩টি মামলা দায়ের করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দেশব্যাপী চলমান দূষণবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ২ জানুয়ারি থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নিঃসরণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে মোট ১৮৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এসব অভিযানে ৪৬৪৭টি মামলার মাধ্যমে ২৭ কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
একই সময়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৪৯৬টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুই’শ ২২টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ১৩৮টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া ২৮টি অবৈধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয় এবং ১৭০টি প্রতিষ্ঠানের সেবা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠান হতে ১১ ট্রাক, সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায় যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।