বাসস
  ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৪২

ফ্যাসিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে চাকসুতে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দ্বারা ফ্যাসিবাদী তৎপরতা ও দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ’জুলাই সনদ আইন করো, ইনসাফ কায়েম করো’, ’জুলাই পাবে শক্তি, দিলে আইনি ভিত্তি’, ’খুনি হাসিনার সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ ইত্যাদি নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন- চাকসুর সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জিহাদ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাহিমা আক্তার দ্বীপা, সহ-ছাত্রী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রিতা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আফনান হাসান ইমরান, যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ রাব্বি এবং নির্বাহী সদস্য সালমান ফারসি, সোহানুর রহমান ও আদনান শরীফসহ আরো অনেকে।

মিছিল শেষে সমাবেশে চাকসুর যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা বলেন, ‘খুনি হাসিনার পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগ আর প্রকাশ্যে আসতে পারবে না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে তারা প্রকাশ্যে মিছিল করছে, ব্যানার টাঙাচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, ক্যাম্পাসে যারা অস্থিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানার টানিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার করতে হবে।’

চাকসুর সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। সেই আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছিলো খুনি হাসিনা। সেই গণহত্যার বিচারের রায় আমরা আজও পাইনি। রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু সেই রায় ঘোষণাকে বানচাল করার জন্য খুনি হাসিনার দোসররা মাঠে নেমে গেছে। অনেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত ক্যাম্পাসকেও অস্থিতিশীল করার জন্য নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে ইন্ধন যুগাচ্ছে। তাদেরকে আমরা কঠিন ভাষায় সতর্ক করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুনিদের বিচার করা হোক। ১৭ নভেম্বর হাসিনার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক, আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। এছাড়াও আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, জুলাই শহীদ পারিবারের পুনর্বাসন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতা থেকে চলে যেতে দেওয়া হবে না। খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি বাস্তবায়ন এবং কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা যাবে না।