বাসস
  ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৩১

বিদেশি নাগরিকদের কর্ম অনুমতি ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সহজ করতে বিডা’র মতবিনিময়

চট্টগ্রাম, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিদেশি নাগরিকদের কর্ম অনুমতি ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সহজ ও কার্যকর করতে চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। 

আজ বুধবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় চট্টগ্রামের একটি হোটেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই উদ্যোগটি ট্রান্সফরমেটিভ ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রাম (টিইপিপি) -এর অংশ, যা ইউএনডিপি, যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এসসিডিও)-এর সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিনিয়োগ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলোকে আরো দ্রুত, স্বচ্ছ ও দক্ষ করা। 

মতবিনিময় সভায় বিডা’র নির্বাহী সদস্য ও সচিব এয়ার কমডোর (অব.) মো. শাহারুল হুদা বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর ও একীভূত কর্ম অনুমতি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক ব্যবসার জন্য আরো আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করবে। 

তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান কর্ম অনুমতি প্রক্রিয়ায় যুক্ত, তাদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার  করে সেবার মান উন্নয়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

মতবিনিময় সভায় বিডা’র মহাপরিচালক মো. আরিফুল হক বলেন, কর্ম অনুমতি সংস্কার কেবল একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, এটি একটি কৌশলগত উদ্যোগ, যা বাংলাদেশকে আরো প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সহায়তা করবে।

মতবিনিময় সভায় এনএসআই-এর যুগ্ম পরিচালক জেসমিন আখতার খান বলেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্রুত, স্পষ্ট ও পূর্বানুমানযোগ্য ছাড়পত্র প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। 

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য নথিপত্র জমা এবং বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বেতন প্রদান, এই দুটি বিষয় মেনে চলা হলে কর্ম অনুমতি ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরো দৃঢ় হবে।

উল্লেখ্য, ইউএনডিপি বর্তমানে বিডা’র ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কর্ম অনুমতি প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল ও স্বয়ংক্রিয় করার সহায়তা দিচ্ছে। এসব সংস্কারের ফলে সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেকগুলো ধাপ কমে আসবে, স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে আরো সহজ করবে।

সভায় বিডা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই), পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।