শিরোনাম

ঢাকা, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আগামী নির্বাচন নয়, তার পরের নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য আবেদনকারীরা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ভিত্তিতে গঠিত আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বহুল আলোচিত এই আপিলের ১০ম দিনের শুনানি শেষে আজ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
এই আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বর্তমানে দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার থাকায় বিএনপি, জামায়াত ও রাষ্ট্রপক্ষসহ অন্যান্য আবেদনকারীদের আইনজীবীরা শুনানিতে আগামী নির্বাচনের পরবর্তী নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রস্তাব দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও একজন ব্যক্তি। সেই রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতে আপিল শুনানির অনুমতি দিয়ে গত ২৭ আগস্ট আদালত ২১ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন।
এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তা বাতিল করেন।