শিরোনাম

ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস): সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং মানিলন্ডারিংয়ের মামলার চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভোগের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলাটি ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দায়ের করা হয়েছিল।
তদন্তে দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৬ টাকার অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেন।
তবে তদন্তে তার নামে ৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৮৭ টাকার স্থাবর এবং ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদের সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এতে মোট ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। বৈধ আয়ের উৎস হিসেবে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৮ টাকা। ব্যয় বাদে নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
ফলে বেনজীর আহমেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১১ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে। তিনি এসব অর্থের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি ও মালিকানা গোপন করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তদন্তে আরও জানা যায়, বেনজীর আহমেদ তার নাবালিকা কন্যা যাহরা যারীন বিনতে বেনজীরের নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।
দুদক জানায়, এসব কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তদন্তকালে বেনজীর আহমেদের বিদেশে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এমএলআর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে দুদক।