শিরোনাম

ঢাকা, ১০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রণীত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-কে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
একইসঙ্গে, সময়োপযোগী ও বহুল আকাঙ্ক্ষিত এ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ তৌহিদ খান ও সভাপতি সুস্মিতা পাইক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে অ্যাসোসিয়েশন মনে করে। দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অ্যাসোসিয়েশন আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।”
এতে আরও বলা হয়েছে, কমিশন বিশ্বাস করে যে নবপ্রণীত এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশন আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ উল্লিখিত—রাষ্ট্রীয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, শৃঙ্খলা বাহিনী বা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরাসরি তদন্তের ক্ষমতা; যে-কোনো সময়, যে-কোনো স্থান পরিদর্শনের এখতিয়ার; কমিশনের আদেশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতা এবং ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান; ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অনুকূলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা ক্ষেত্রমত জরিমানা ধার্য ও আদায়ের বিধান-এসবই জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশনকে অধিকতর কার্যকর ও গতিশীল করে তুলবে।
একইসঙ্গে, প্রতিটি বিভাগে কার্যালয় স্থাপন এবং পূর্ণাঙ্গ আর্থিক স্বাধীনতার বিধান কমিশনের কার্যক্রমকে আরও দৃশ্যমান ও বিস্তৃত করবে। এই অধ্যাদেশের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলে অ্যাসোসিয়েশন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই অধ্যাদেশে উক্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত ধারা ২৮-এর উপধারা (৩) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রত্যাশা জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়া, আসন্ন কমিশনের নেতৃত্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সার্বিক কার্যক্রম পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।