শিরোনাম

ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর ধলপুর সুইপার কলোনি নির্মাণে নিম্নমানের কাজ, নকশায় অনিয়ম এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তিন সাবেক প্রকৌশলী ও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলাটি ২০১৬ সালের ২০ জুন যাত্রাবাড়ী থানায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার। তদন্ত করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনির মিয়া।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-১-এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মেজবাহুল করিম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অব.) মো. আব্দুস সালাম এবং মেসার্স নাজমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ।
দুদকের তদন্তে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হওয়ার আগেই ভিত্তিহীন কারিগরি বিশ্লেষণের ওপর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত করেন। পরবর্তীতে সঠিক নকশা ছাড়াই ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়। এতে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি তদারকির ঘাটতি ছিল, তবুও কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রত্যয়ন দিয়ে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করা হয়।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপের তিনটি ভবন নির্মাণে মোট ৩ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৩ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল পরিদর্শন করে জানায়, ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় ধসে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সিদ্ধান্তে ভবনগুলো ভেঙে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের তদন্তে আরও দেখা যায়, আসামিরা যোগসাজশে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় ও ক্ষতি সাধন করেছেন। মৃত আসামি মো. আব্দুস সালামকে অব্যাহতি দিয়ে অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে কমিশন।