শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের কাছে ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
৯ দফায় রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে না রাখা। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রের বাইরে একটি জায়ান্ট স্ক্রিনে জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রের ভেতরের ভোট কার্যক্রম ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। নুরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি জানার জন্য ইসিতে এসেছি। তারা (ইসি) নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ৯টি দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন বলে সিইসি জানিয়েছেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা সিইসিকে কলেছি— ইসি যেন মেরুদণ্ড সোজা করে সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তির কেউ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ না পায়। জাতীয় পার্টি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি থাকলে নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের ৯ দফা দাবির অন্যান্য দফায় বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স উপজেলাতে পাঠানোর সময় এবং ভোট কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রার্থীদের এজেন্টদের সঙ্গে রাখা। ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্র দখল ও কালোভোটের অভিযোগ থাকলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা। কোনো প্রার্থীর সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে, এমন কোনো কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখা। বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে এমন বিধান যুক্ত করা এবং তফসিলের পর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে গণধিকার পরিষদ।