বাসস
  ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৮
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১২

আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নেবে এনসিপি : সারজিস আলম

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের বড় বাজারের সালতি কনভেনশন হলে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ কথা বলেন সারজিস আলম। ছবি : বাসস

নেত্রকোণা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস) : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে। কারণ শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই।

তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের বড় বাজারের সালতি কনভেনশন হলে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ কথা বলেন।

সভায় সারজিস আলম বলেন, ‘ আশা করছি নির্বাচন কমিশন অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাদের জায়গা থেকে স্বেচ্ছাচারিতার আচরণ করবে না। আমরা প্রত্যাশা করছি, অবশ্যই আমরা শাপলা প্রতীক পাবো এবং শাপলা প্রতীক নিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো। আগামীতে কারা সরকার গঠনে এনসিপি নির্ণায়কের ভূমিকায় থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বিএনপি বা জামাত তাদের জায়গা থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মোকাবিলা করতে পারবে না, এক্ষেত্রে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।’

সারজিস বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যাদের ওপর আগামীতে আমরা আস্থা রাখতে চাই। এই নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের চাপে আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে কোন পিছুটান অনুভব করলে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আস্থা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে।  

তিনি আরও বলেন, শাপলা প্রতীক আমরা আদায় করে নেব আমাদের জায়গা থেকে। রাজনৈতিকভাবে হোক বা অন্য যেকোনো ভাবে হোক। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, সংস্কারগুলো জুলাই সনদের মাধ্যমে কমিটেড ভাবে পাই। বিচারিক প্রক্রিয়ায় রায় এবং কার্যকারিতা দেখতে পাই, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে এনপিপির আলাদা কোন আপত্তি নাই। 

সারজিস বলেন, কিন্তু জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও বিচারিক প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি এসব বিষয়গুলো যদি পিছিয়ে যায়, তাহলে তা নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং নির্বাচন পিছিয়েও যেতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও এই বিষয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারাই আছেন তাদেরকে আহ্বান করবো, এনসিপি নির্বাচন পিছিয়ে যাক এমন মানসিকতায় ধারণ করেনা, কিন্তু জনগণের সকল আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে যদি শুধু নির্বাচন কেন্দ্রীক চিন্তা হয় এনসিপি সে আকাঙ্ক্ষাতে সায় দেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর কয়েকজন ফ্যাসিস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কিন্তু পুরো কাঠামো এখনো টিকে আছে। আমাদের লড়াই সেই কাঠামোর বিরুদ্ধেই।

ফ্যাসিস্টের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেন ছাড় না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা হচ্ছে তারা ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারেনি। তারা অলরেডি পুনর্বাসিত। আমাদের এই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব যেকোনো কিছুর বিনিময়ে নেগোসিয়েশনে কোন ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সুযোগ যাতে না পায় তাহলে আমাদের জুলাই আন্দোলন সার্থক হবে।’

সভায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফাহিমসহ জেলার  বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।