শিরোনাম
পঞ্চগড়, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় সাজা শেষে ৬ বছর পর নিজ দেশ ভারতে ফিরে গেছেন ভারতীয় নাগরিক শ্রী বাদল উড়ান (২৮)।
সোমবার বিকেলে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশ ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট তাকে হস্তান্তর করেন।
এ সময় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি’র বাংলাবান্ধা কোম্পানির কমান্ডার আব্দুর রহমান, বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি কোম্পানির এসি বিক্রম সিংসহ বিজিবি-বিএসএফের কর্মকর্তারা ও পঞ্চগড় জেলা কারাগারের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায়, ভারতীয় নাগরিক বাদল উড়ানের বাড়ি আসামের নওগাঁ জেলার কালিয়াবর থানার নৈপন্নী গ্রামে। তিনি ওই এলাকার কারমা উড়ানের ছেলে।
বিজিবি, পুলিশ ও পঞ্চগড় জেলা কারাগার সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৯ মে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে আটক হন তিনি। এ ঘটনায় ওই দিনই বিজিবি’র পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় ‘বাংলাদেশ পাসপোর্ট আইন, ১৯৫২’ এর ৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে আদালত তার এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
তার সাজার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ১৮ মে। কিন্তু ওই ভারতীয় নাগরিককের প্রকৃত ঠিকানা না পাওয়া যাওয়ায় পরবর্তীতে দুই দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের দূতাবাসের অনুমোদনের পর সোমবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় নাগরিক বাদল উড়ানকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, ৬ বছর আগে অনুপ্রবেশ করে ওই ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। নানান জটিলতায় সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে ফেরত পাঠাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। ফেরত পাঠানোর সময় বিজিবি বিএসএফের কর্মকর্তাসহ দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশীদ বলেন, অন্য দেশের কয়েদি যদি আমাদের দেশে সাজা ভোগ করে তাহলে তাকে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের দেশের জেলে তাকে অতিথি হিসেবে রাখা হয়। পরে সরকারের নির্দেশনা পেলে আমরা তাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে সোপর্দ করি।
তিনি আরো জানান, ভারতীয় নাগরিক বাদলও সাজা শেষে কারাগারেই ছিলেন। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজিবি-বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।