শিরোনাম
নীলফামারী, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ গ্রামের ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
আজ রোববার সকালে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ভেঙে ও উপরে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ঘর ও গাছের চাপায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জোনাব আলী জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, মাঝাপাড়া, পুরান টেপা, নয়া টেপা, ডিসির মোড়, উত্তরপাড়া, মাঝাপাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রাম তছনছ হয়। ওই ঝড়ে ছয় শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ ভেঙ্গে ও উপরে পড়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ও খুঁটি উপরে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় গাছ ও ঘরের চালা পড়ে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লোকমান আলম বলেন, ঝড়ের কারণে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, যে সব সড়কে গাছ উপরে পড়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল, স্থানীয়দের সহায়তায় গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক থেকে দেড় মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ পালা উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প কাজ করছে। এ পর্যন্ত আহত ৬০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। টিন ও গাছের ডাল ভেঙে আহত হওয়া ৫০ জনকে টিটেনাস ইনজেকশন প্রদান করা হয়েছে। গুরুত্বর একজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পাঁচজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ করছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুই হাজার মানুষের জন্য খিচুরি ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ টন চাল, ৫০ হাজার টাকা, ৩৩৮ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০০ কম্বল দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কাজ চলছে। তালিকা চ’ড়ান্ত হলে যার যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ী পুনর্বাসনে কাজ করা হবে।