শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : লিবিয়ার বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ২০২৫-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাফেজ আনাস বিন আতিক পূর্ণ কোরআন হিফজ ক্যাটাগরিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে দেশের জন্য নতুন এক গৌরবের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
রোববার রাতে লিবিয়ার আওকাফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সচিব, সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিপুলসংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন। হাফেজ আনাস বিন আতিককে পুরস্কারস্বরূপ ৫০ হাজার লিবিয়ান দিনার প্রদান করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৫টি দেশের মোট ১২০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন এবং তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্বে ১৮ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের এই প্রতিযোগীকে মনোনয়ন ও তত্ত্বাবধান করে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ। সংগঠনের মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী (হাফিযাহুল্লাহ)-এর প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ক্বারী মাসউদুর রহমান প্রতিযোগিতায় পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নেন।
বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশংসিত হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে লিবিয়ার এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা পুনরায় শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরই বাংলাদেশের হাফেজরা গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করে আসছেন। ২০২২ সালে সালেহ আহমদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জন করেন। ২০২৩ সালে আবু তালহা ২য় স্থান অর্জন করে ২ লাখ লিবিয়ান দিনার পুরস্কার লাভ করেন এবং একই বছরে মুস্তাফিজুর রহমান গাজী তাফসির বিভাগে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। ২০২৪ সালে মাহমুদুল হাসান তাফসির বিভাগে সম্মানজনক সাফল্য অর্জন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালে হাফেজ আনাস বিন আতিক হিফজ বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে দেশের জন্য নতুন গৌরব বয়ে আনেন।
বাংলাদেশি হাফেজদের এই ধারাবাহিক কৃতিত্ব প্রমাণ করে যে দেশের প্রতিযোগীরা বিশ্ব কোরআন মঞ্চে ক্রমেই শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের নিরলস প্রচেষ্টা ও সঠিক তত্ত্বাবধানের ফলে গত অর্ধযুগে এই ধারাবাহিক সাফল্য সম্ভব হয়েছে। হাফেজ আনাস বিন আতিকের এ বিজয় শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের ইসলামী ঐতিহ্য, কোরআনপ্রেম এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিভাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এক অনন্য অর্জন।