ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আওয়ামী লীগের দু’জন সাবেক এমপিসহ মোট ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই সাবেক এমপিসহ ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলকে (৫৮) গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তামান্না নুসরাত বুবলী (৪৫) নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ সোমবার বাসস’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের  গ্রেফতার করা হয়।
  
তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের সভাপতি মো. মানিকুরুর রহমান (৩৫), সাবেক জাতীয় শ্রমিক লীগের ২২ নম্বর ওয়ার্ড রামপুরার আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক শাকিল (৫৯), বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক মো. আলম মাতবর (৫৮), শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা যুবলীগ সদস্য মো. মকছেদ (৩৯), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য মো. কায়েম হোসেন (৪১), চকবাজার থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রিয়াজউদ্দীন আহমেদ মানিক (৫০), বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম সুমন (৩৭ ), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক এবাদুল হক সবুজ (৩৫), ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক হীরক (৬০) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা আবিরুজ্জামান ওরফে আবির (২৫)। 

ডিবি-সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত তামান্না নুসরাত বুবলী অনলাইনে তৃণমূল কর্মীদের একত্রিত করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগ (এসএইচটিএসএল)-এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ঢাকা শহরে ঝটিকা মিছিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। গ্রেফতার মো. মানিকুরুর রহমানের নেতৃত্বে এসএইচটিএসএল গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা হয়েছে। 

গ্রেফতার আবিরুজ্জামান ওরফে আবির ঢাকার শ্যামলী এলাকায় ককটেল হামলাসহ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। এছাড়া, তিনি প্রচুর বিদেশি অর্থায়ন সংগ্রহ করছেন বলেও তথ্য রয়েছে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।