শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস) : সাইফ পাওয়ার থেকে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইউসিবি পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউসিবিএল মহাখালী শাখার গ্রাহক ও ব্যবসায়ী সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেন। পরবর্তীতে এ অর্থ বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ইউসিবিএল মহাখালী শাখায় সাইফ পাওয়ারটেক লি. ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লি.-এর নামে ঋণ আবেদন করা হয় এবং একই বছরের সেপ্টেম্বরে ইউসিবি পরিচালনা পর্ষদ ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করে। এরপর ঋণকৃত অর্থের অংশ থেকে পাঁচটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে প্রদান করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ইউসিবি পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ফরিদ উদ্দিন।
দুদক জানায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইউসিবিএল ব্যাংকের মালিক ও পরিচালক হয়ে এবং স্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে সরাসরি ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করতেন।
মামলায় দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৬২/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।