বাসস
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২১

বাসা প্রতি একশ’ টাকার বেশি বর্জ্য চার্জ নেওয়া যাবে না : দক্ষিণ সিটির প্রশাসক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। ফাইল ছবি

মোশতাক আহমদ

ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বর্জ্য ঠিকাদাররা একেক বাসা থেকে ১০০ টাকার বেশি বর্জ্য নেওয়ার চার্জ বা বিল নিতে পারবেনা বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়। 

তিনি জানান, এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডিএসসিসির প্রশাসক বলেন, নাগরিকদের সেবা প্রদানে সিটি কর্পোরেশন সর্বদা নিয়োজিত আছে। নাগরিকদের থেকে যে কোনো সেবার বিপরীতে কোনো অসদুপায় অবলম্বন করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহ সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অচিরেই নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গতি ও মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

প্রশাসক বলেন, অত্যন্ত মানবিক কারণে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আগের ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে কারো বিরুদ্ধে বেশি চার্জ নেওয়ার অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে একই নিয়মে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চার্জ নিতে হবে। এ বিষয়ে বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রশাসক বলেন, গত ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে।

কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়।

পরে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হয়।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের কঠোর মনোবল ও আন্তরিকতার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এই সাফল্য ধরে রাখা হবে। এর মধ্যে কোনো বর্জ্য ঠিকাদারের কারণে যেন সিটি কর্পোরেশনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রশাসক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোথাও যদি নিয়মিতভাবে ওষুধ ছিটানো না হয় সেটা কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানানোর জন্য তিনি নাগরিকদের আহ্বান জানান।

প্রশাসক বলেন, সিটি কর্পোরেশনে বসে আমাদের পক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির খোঁজ-খবর নেয়া সম্ভব না। তবে কেউ যদি অভিযোগ করেন তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেটার ব্যবস্থা নেয়া হবে।