শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছে।
সোমবার আয়োজিত এই সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৫ (এসডিজি-৫) অর্জনের ক্ষেত্রে দেশটির অগ্রগতি ও পরিকল্পনা তুলে ধরে বলে আজ এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
এ সময় শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৫ অর্জনের জন্য কাজের গতি বাড়ানো প্রয়োজন। নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে কিছু সাফল্য থাকলেও পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রও রয়েছে। এটি শুধু দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা নয়, বরং অসম জাতীয় অগ্রাধিকারের ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিবেক ও হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে একটি যত্নশীল ও সভ্য সমাজ গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
উপদেষ্টা বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে জানান, শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন স্কোর অর্জনসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে দেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
নারীর সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ২০২৫-২০৩০ মেয়াদে চারটি উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে। এগুলো হলো- ২০২৫ সালের মধ্যে একটি যৌন হয়রানি প্রতিরোধ অধ্যাদেশ প্রণয়ন; ২০২৭ সালের মধ্যে গৃহস্থালি উৎপাদনমূলক স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট প্রতিষ্ঠা যাতে অবৈতনিক সেবামূলক কাজের মূল্য নির্ধারণ করা যায়; জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তত ৩৩% নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট সম্প্রসারণ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘কর্মশক্তি উন্নয়ন এবং সকলের জন্য মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে সেবা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ অপরিহার্য।’
সভায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আশা প্রকাশ করে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ আরও দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করবে।