বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫৫

এনসিপির নিবন্ধনের সাথে শাপলা প্রতীক দিতে হবে : নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

ফাইল ছবি

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন এবং একইসাথে দলের প্রতীক শাপলাও পাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা সিইসির সাথে নিবন্ধন, প্রতীক এবং প্রবাসী ভোটের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এনসিপি নিবন্ধন পাবে বলে ইসি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি বলেন, আমরা শাপলাতেই আছি, এনসিপি কনফার্ম শাপলাতেই থাকবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতীকের বিষয়ে আমরা বলেছি, আমাদের প্রতীক শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা । আমরা যে তিনটি প্রতীকের কথা বলেছি তা থেকে সরছি না। তিনি বলেন, এনসিপির নিববন্ধন যে প্রতীকে হবে সেটা অবশ্যেই শাপলা, সাদা শাপলা আথবা লাল শাপলা- এই তিনটির মাধ্যমে হতে হবে। এর ব্যত্যয় করা যাবে না। যদি করা হয় তা হলে আমরা আবার আপনাদের সামনে আসব।

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করে যে জামায়াত নির্বাচন চায় না, এনসিপি নির্বাচন চায় না। এগুলো হলো প্রোপাগান্ডা। যদি বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুত সুন্দর একটা নির্বাচন কেউ চেয়ে থাকে, সেটা সবার আগে এনসিপি। কারণ আমরা ভোট দিতে পারিনি। জুলাই সনদ যদি না হয় এবং বাংলাদেশের যে লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি আছে সেখানে যদি কোনো মানদণ্ডগত পরিবর্তন না আসে, তাহলে তো সেই একই শেখ হাসিনার জায়গায় অন্য একজন বসছে। এজন্য আমরা এই জায়গাটা কনফার্ম করতে বলছি। আর এটা দলগুলো বসে সমাধান করলে তো ১০ু/১৫ দিনের কাজ।’

তিনি আরো বলেন, আপাতত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনটা ব্লক হতে যাচ্ছে। একটা ইসলামিক ব্লক ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। আরেকটা বিএনপির নেতৃত্বে হচ্ছে। আরেকটা আমাদের নেতৃত্বে হচ্ছে। আমরা বিএনপি-জামায়াতের ব্লকে যাচ্ছি না। আমরা গণঅভ্যুত্থানের সময় ইশতেহার দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, যেহেতু ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়নি, আমাদের সামনে দীর্ঘ লড়াই রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে তরুণরা আন্দোলন করেছিল, অনেকেই দল সৃষ্টি করেছিল। তারা এখন এনসিপির ব্যানারে যোগ দেয়ার জন্য সম্মত হয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা একসাথে কাজ করব। তবে কী প্রক্রিয়ায় এটা হবে, সে বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে। 

তিনি আরো বলেন, তরুণদের একটি বৃহত্তর অ্যালায়েন্স আসছে। ইনশাআল্লাহ এই নির্বাচনে এনসিপির হাতে ১৫০টি আসন থাকবে। বিএনপি ও জামায়াত থেকে গণঅভুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে দাড়াবে আমরা তাদের মধ্যে যারা ভালো মানুষ তাদেরকে মৌন সমর্থন দেব।

গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে একত্র হলে দলের নাম ও প্রতীক কী হবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের নাম এনসিপিই থাকবে এবং এনসিপির প্রতীকই থাকবে। আমাদের অধীনে আরও অনেকগুলো দল আসছে। অনেকগুলো দল, অনেকগুলো ব্যানার ইনশাআল্লাহ এনসিপির ব্যানারে চলে আসবে।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা খুবই স্পষ্ট করে বলতে চাই— আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, নিম্নকক্ষে চাই না।

সিইসির সাথে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।