শিরোনাম
লালমনিরহাট, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): সাবেক উপমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি সমগ্র দেশের আনন্দের অংশ।
তিনি আরো বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই আনন্দ ভাগাভাগি করে। বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যেখানে যুগ যুগ ধরে ভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বন্ধনই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড় এলাকার নবজীবন সেন্টারে জেলা বিএনপি আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল হাবিব দুলু এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ দুলু আরো বলেন, দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংকট বিরাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এই সময়ে ধর্মীয় উৎসবগুলো সমাজে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেয়। তাই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার বন্ধন আরো সুদৃঢ় করা জরুরি।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছরই দুর্গোৎসবকে ঘিরে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ান। নেতাকর্মীরা নিশ্চিত করেন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারে। তারা খোঁজখবর নেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, লালমনিরহাট সদর উপজেলার আহ্বায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিরালাল রায়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক ও এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবেন্দ্র নাথ রায় কার্জী শিবু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের লালমনিরহাট জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক গুরুচরণ রায়, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য সুশীল চন্দ্র মোহন্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা শৈলেন্দ্র নাথ রায়, লালমনিরহাট জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি হীরা লাল রায় এবং ঐক্য পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অধ্যক্ষ দুলুর এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তারা বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা যদি নিয়মিতভাবে ধর্মীয় উৎসবে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে এগিয়ে আসেন, তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।’