বাসস
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৮

আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির সাথে বৈঠক না করার দাবি চিকিৎসকদের

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সাথে কোনো বৈঠক না করতে  এবং প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের আহ্বান জানিয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের আয়োজিত সংহতি প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তারা

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগসহ অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার। তামাকজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিরোধযোগ্য এই মৃত্যু কমাতে এবং তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করা জরুরি।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক (চিকিৎসা সেবা) ডা. নায়লা পারভীন প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ৬টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা, খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা এবং তামাকপণ্যের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খসড়া পর্যালোচনার জন্য গঠিত উপদেষ্টা কমিটি স্টেকহোল্ডার সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর এনবিআর তামাক কোম্পানির সাথে বৈঠক আহ্বান করেছে।

বক্তারা বলেন, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর আর্টিকেল ৫.৩-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের সময় তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণ করা যাবে না এবং বাংলাদেশ এফসিটিসি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এটি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রাখে।