শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আসামের গুয়াহাটিতে ভারত সরকার আয়োজিত বিমসটেক ইয়ং লিডারস সামিটে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মনোনীত ১০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেছে।
গত ৯-১১ সেপ্টেম্বর এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন।
এর আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটের গান্ধীনগরে প্রথম বিমসটেক ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বাংলাদেশ থেকে ১০ জন তরুণ অংশ নেন।
সামিটে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের তরুণ নেতাদের অন্তর্ভুক্তি এবং গভীর আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং আর্থ-সামাজিক একীকরণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের কৌশলগত গুরুত্বের উপরও আলোকপাত করা হয়।
৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ২১-দফা কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ সামিটের আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগিতা করেছে ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস। আসামের রাজ্যপাল এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এতে বিমসটেক-এর সব সদস্য রাষ্ট্র থেকে ৮০ জনেরও বেশি তরুণ নেতা অংশ নেন।
এই সামিটে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলে শিক্ষা-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, আইনজীবী, জাদুঘরের কিউরেটর এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ভারতের সরকার তরুণদের সকল খরচ বহন করেছে।
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুব প্রতিনিধিদের এ সক্রিয় অংশগ্রহণ বিমসটেক-এর অংশীদারি সমৃদ্ধি এবং সংযোগ লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশী প্রতিনিধিরা উন্নত দক্ষতা, উদ্ভাবনী ধারণা এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে ফিরে এসেছেন, যা আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।
এই সামিট ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’, ‘মহাসাগর’ দর্শনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আঞ্চলিক তরুণ নেতাদের উন্নয়ন, সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উদ্দেশ্যকে আরো দৃঢ় করেছে।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে তরুণ নেতৃত্বকে ২১ শতকের সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ডিজাইন থিংকিং এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ উদ্ভাবন বিষয়ে সম্পৃক্ত করা হয়। সংস্কৃতি বিনিময় এবং দেশভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিনিময় সেশনগুলো বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংহতি আরও জোরদার করেছে।