বাসস
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৮

সিএসএ ভিপি পদে বিজয়ী ছাত্রদল কর্মী রিফাদ

শেখ রিফাদ মাহমুদ। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএসএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাটোর জেলা ছাত্রদলের কর্মী শেখ রিফাদ মাহমুদ।

ভোটে ভারত, ঘানা, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে তিনি সিএসএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পার্টিসিপেশন) নির্বাচিত হন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে রোববার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

রিফাদ নাটোরের কানাইখালী এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে রাজধানীর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা শেখ মো. রকিবুল ইসলাম সিংড়ার বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ।

রিফাদ বর্তমানে জাতিসংঘ যুব উপদেষ্টা পর্ষদ বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আগামী তিন বছরের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের মোট ১০টি নেতৃত্বস্থানীয় পদের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করেন তারা। প্রতিটি দেশ থেকে একজন করে ডেলিগেট ভোট দেন। যেখানে মোট ভোটের প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পান রিফাদ।

শেখ রিফাদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি কমনওয়েলথভুক্ত সকল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ন্যায়সংগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই শিক্ষায় সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সামনে থেকে প্রতিনিধিত্ব করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর সুযোগ সমান নয়, অনেকেই আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খায়। আমি এমন উদ্যোগকে উৎসাহিত করব যেখানে শিক্ষার্থীরা পকেটমানি ও টিফিনের টাকা সঞ্চয় করবে এবং একে অপরকে সহায়তা করতে পারবে। যাতে কোন শিক্ষার্থী কেবল অর্থের অভাবে তার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না পড়ে।’

২০১২ সালে মরিশাসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ শিক্ষামন্ত্রীদের ১৮তম সম্মেলনে সিএসএ গঠন করা হয়। সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের অধিকার সুরক্ষা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া ও আর্থিক সহায়তা সহজতর করা, মানসিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। 

বর্তমানে এটি কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করছে।