শিরোনাম
রাজশাহী, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের ব্যাপারে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রস্তাবিত ‘জ্বালানি রূপান্তর নীতি ২০২৪’ নিয়ে রাজশাহীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা জ্বালানি খাতকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে একটি সময়োপযোগী এবং কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের নীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
আজ সকাল ১১টায় নগরীর অলকার মোড়ে মাইডাস রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব রাজশাহী যুব সংসদের সভাপতি মো. জুলফিকার আলী। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন, ক্যাব রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন।
ক্যাব যুব সংসদ আয়োজিত সভায় সাংবাদিক, চিন্তাবিদ, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা অংশ নেন।
ক্যাব যুব সংসদের স্থানীয় ইউনিট সভাপতি জুলফিকার আলি হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর শামসুল আলম, ক্যাবের উপদেষ্টা (অভিযোগ) ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম, ক্যাব রাজশাহী জেলা সভাপতি কাজি গিয়াস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ সুমন এবং গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত রেজিস্টার সাইফুদ্দিন আহমেদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজুফা তাজনুর, অরিত্র রুদ্র ধর ও মেহবুবা আফরোজ জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ক্যাব স্থানীয় ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অধ্যাপক শামসুল আলম তার বক্তব্যে জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, নীতিগত সহায়তা, ন্যায্য মূল্য হার এবং বেসরকারি বিনিয়োগ টেকসই জ্বালানির নিরাপত্তা অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অধ্যাপক শামসুল আলম আরো বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুতের ব্যাপারে প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেললেও নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এসে বিদ্যমান সম্পদ ও সম্ভাবনা নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে। সবুজ প্রকৃতি রক্ষায় জলাভূমিসহ প্রাকৃতিক সব সম্পদ রক্ষার এখনই সময় বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।