বাসস
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:১০

কেসিসি'র ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কেসিসি'র প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বৃহস্পতিবার কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। ছবি : বাসস

খুলনা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ অর্থ দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। তবে, বাজেটে নতুন কোন করারোপ করা হয়নি। এছাড়া গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬১৮ কোটি ২৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। কেসিসি'র প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার এ বাজেট ঘোষণা করেন।

বাজেট বক্তৃতায় কেসিসি'র প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেন, গত চার বছরে নতুন কোনো প্রকল্প না থাকা আর পুরাতন প্রকল্পগুলোও চলতি বছর শেষ হওয়ার পথে থাকায় এবার বাজেটের আকার ছোট হয়েছে।

তিনি বলেন, এক বছরের ব্যবধানে বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। তবে নতুন করে বড় একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেসিসি তিনটি বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করেছে। বিভাগগুলো হলো-কনজারভেন্সি বিভাগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

এছাড়া মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে প্রকল্প দুটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন হয়। এক হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই দু’টি প্রকল্প। 

এর মধ্যে সড়ক মেরামতের প্রকল্পটি গত অর্থবছরে শেষ হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবছরে। ২০২১ সালে অনুমোদন হওয়া কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পও চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে।

কেসিসির হিসাব শাখা সূত্রে প্রকাশ, কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উন্নয়ন কাজের পুরোটাই আসে প্রকল্পের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ এবং দাতা সংস্থার অনুদান থেকে। ফলে নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন না হলে উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

সরকারি প্রকল্প কমে যাওয়ায় অর্থ বরাদ্দও কমছে। এ জন্য বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে। চলতি বছরের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক।

বাজেট ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন, চব্বিশের শহীদ শেখ মো. সাকিব রায়হানের পিতা শেখ আজিজুর রহমান ও মাতা নুরুন্নাহার বেগম, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান মনি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ আসিফ রহমান, বাজেট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, চীফ প্লানিং অফিসার (চলতি দায়িত্বে) আবির উল জব্বার, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, বাজেট কাম অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, নগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এড. জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, বৃহত্তর উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ।