বাসস
  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:০৬

দায়িত্বশীল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

ছবি: বাসস

খুলনা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সকল নাগরিককে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ‘ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছ’ এর মতো কার্যক্রম পরিবেশ সচেতন তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলবে। সেই সঙ্গে এই কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও জোরদার করতেও সহায়তা করবে।’

গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে খুবি ক্যাম্পাসে ‘প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছ’ ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে উপাচার্য এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে, প্লাস্টিক আবর্জনা এড়িয়ে চলতে হবে ও আরও বেশি গাছ লাগাতে হবে, যাতে করে একটি সবুজ, স্বাস্থ্যকর ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে ওঠে। আমাদের লক্ষ্য দূষণ হ্রাস করা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও সবুজায়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা।’

৪-৫ সেপ্টেম্বর খুলনার হাদি চত্বরে খুবি’র ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ক্লাব (ফউটেক) তাদের সিগনেচার প্রোগ্রাম ‘গিভ অ্যান্ড টেক সিজন ৩’-এর আয়োজন করে।

এতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে চারাগাছ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রতি ৫০০ মিলি প্লাস্টিক বোতলের জন্য একটি করে চারা বিতরণ করা হয়।

চলতি বছর দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনে ইনডোর, ফলদ, বনজ ও শোভাবর্ধনকারী গাছসহ ১ হাজার ১০০ টিরও বেশি চারাগাছ বিতরণ করা হয়, যা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের লোকালয়ের বাসিন্দাদেরও এতে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিতে আগ্রহী করে তুলেছিল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে এ আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. মো. নাজমুস সাদাত। 

এই উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বন ও পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশগত প্রতিযোগিতার জন্য স্থান বরাদ্দের সুপারিশ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফউটেক ক্লাবের সভাপতি মো. ইনসান আলী। 

খুবি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিবেশগত দল, যেমন- লেক্সিকন, খুলনা প্রকৃতি পক্ষ ও ঢাকা সিটি ট্যুর (ট্যুরিজম উইথ কন্সারভেশন) এতে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে।

এর আয়োজকরা উল্লেখ করেছেন যে, ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ কেবল একটি বিনিময় নয়। বরং এটি একটি অঙ্গীকার, যেখানে প্রতিটি গাছ দূষণের বিরুদ্ধে একেকটি আশার প্রতীক। প্রতিটি গাছ বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করার সাথে সাথে প্লাস্টিকের ঝুঁকিকে কমিয়ে আনার বার্তা বহন করে।