শিরোনাম
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের তৃণমূলে মানুষের কাছে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছিল ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক। দৈনিক ৫ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে এই ক্লিনিকগুলো।
সাধারণত বছরে তিন মাস পর পর প্রতিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। সাম্প্রতিক সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিলেও, এখন এই সংকট কেটে গেছে। ইতোমধ্যে সব জেলার ক্লিনিকগুলোতে ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এসেনশিয়াল ড্রাগস লিমিটেড (ইডিসিএল) থেকে ইতোমধ্যে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের সব জেলায় ওষুধ পাঠানো হয়েছে। জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ওষুধ পাঠাতে দুই-এক দিন সময় লাগে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সব কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া আরও ২০০ কোটি টাকার ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারী সপ্তাহে দুইদিন সেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ১৩ থেকে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে। এসব ক্লিনিকে হতে ২২ ধরণের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
এছাড়াও উচ্চরক্তচাপের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ মোকাবেলায় সরকারের সিদ্দান্ত অনুযায়ি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের জন্য এমলোডিপিন ৫ মিলি গ্রাম ও ডায়বেটিসের জন্য মেটফরমিন ৫০০ মিলি গ্রাম সরবরাহ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক (মাঠ প্রশাসন) আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ৪৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। একটি ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ৩৫ জন মানুষ সেবা নিতে আসে। সেই হিসাবে দৈনিক ৫ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে এসব ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে এখন ২২ ধরনের ওষুধ মানুষকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ তালিকায় কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নেই।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুনে আমাদের ওষুধ সরবরাহের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। বিভিন্ন কারণে এরপর আর এ প্রকল্প নবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ওষুধ সরবরাহ করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় লেগে যায়। আমরা সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ইতোমধ্যে দেশের সব জেলায় ওষুধ পাঠিয়েছি।
গাজীপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি, পারুল আক্তার বাসসকে জানান, আমি কয়েকদিন আগেই ওষুধ পেয়েছি। পুরো গাজীপুর জেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে।