শিরোনাম
সিলেট, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ নির্বাচন চায়। জাতি নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে, এখন আর নামার সুযোগ নেই।
আজ সোমবার সিলেটে রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, ‘৫ আগস্টের পর জামায়াত এ দেশে পিআর নামক শব্দ নিয়ে এসেছে। পিআর না হলে নাকি ভোট হবে না। এটা এ দেশের মানুষ চিনে না। মানুষ চায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।’
বরকত উল্লা বুলু আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’কে বার বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে জেগে উঠেছে। এবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের দিনটি বাংলাদেশি মানুষদের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি বাংলাদেশি ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘গত দেড়যুগ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মদান সার্থক হবে, যদি আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি। এটিই হোক বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার। দেশজুড়ে যেন আর কখনোই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টাকা পাচারের মতো ঘৃণ্য বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
‘জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাসহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপি’র মূল লক্ষ্য’, যোগ করেন তিনি।
সিলেট মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী প্রমুখ।
পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় বের হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালিটি সিলেটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়।