বাসস
  ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৩১

ভূমি সেবাগ্রহীতাকে সবোর্চ্চ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে: ভূমি সচিব

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, খতিয়ানে করণিক ভুল সংশোধনে সেবাগ্রহীতাকে সবোর্চ্চ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, খতিয়ান হচ্ছে দখলের প্রামাণ্য দলিল, মালিকানার দলিল নয়।

রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত 'অটোমেটেড ভূমি ও সেবা সিস্টেমে ভূমির রেকর্ডিয় খতিয়ান সংশোধন’ বিষয়ক এক কর্মশালায় আজ তিনি এসব কথা বলেন। 

ভূমি সংস্কার বোর্ড এ কর্মশালার আয়োজন করে। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, খতিয়ানে মালিক ছাড়া অন্য কারো নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে যেমন সেই ব্যক্তির মালিকানা সৃস্টি হয় না তেমনি প্রকৃত মালিকের মালিকানা স্বত্বও নষ্ট হয় না। 

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং প্রকল্প পরিচালক মো. পারভেজ হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

এদিকে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইজারাকৃত রাবার বাগান নবায়ন বিষয়ে উদ্ভূত জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে আরেকটি সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

সভায় এ এস এম সালেহ আহমেদ সচিব বলেন, দেশের জন্য রাবার শিল্প মঙ্গলজনক, কারণ এটি অর্থনীতিতে অবদান রাখে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং দেশের চাহিদা পূরণ করে। উন্নতমানের রাবার বিদেশে রপ্তানি হয় এবং দেশে বিভিন্ন শিল্প যেমন মোটরগাড়ি, চিকিৎসা, ও খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। রাবার গাছ চাষের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি ও পরিবেশের উন্নতি হয়, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী সম্পদ।

সভায় জানানো হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মোট ১ হাজার ৪০৭ টি রাবার প্লট এবং ৪৬১ টি হর্টিকালচার প্লট রয়েছে যার আয়তন ৪৩ হাজার ৭০০ একর। রাবার গাছের জীবনচক্র অনুযায়ী বাগান ৪০ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়। ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে রাবার বাগান বা হর্টিকালচারের জন্য প্লট ইজারা দেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় রাবার বা হর্টিকালচার বাগান করার জন্য সে সময় থেকে প্রতি একর ৩ হাজার টাকা হারে ২৫ একর জমির সালামী ৭৫ হাজার  টাকা ধার্য করে ইজারা দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই প্রতি ২৫ একর প্লটের জন্য ইজারা নবায়নের ফি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ইজারা নবায়নের চুক্তির মেয়াদ ৪০ বছর করার জন্য বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রস্তাব করা হয়।

বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এ সময় বলেন, দুর্গম এলাকায় তাদের রাবার বাগান। যোগাযোগ ব্যবস্থা তারা নিজেদের অর্থায়নে করেছে। তারা নবায়ন ফি কমানোসহ ব্যাংক ঋণ সুবিধা, নবায়ন ফি এবং লিজের চুক্তির বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সার্বিক বিষয় বিবেচনায় করণীয় সম্পর্কে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র নির্দেশে একটি কমিটি করা হয়। কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত জানাবে।

সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. শরিফুল ইসলাম, রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান (অতি. সচিব) মো. খায়রুল ইসলামসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।