বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৪

মাতৃদুগ্ধ শিশুদের আদর্শ পুষ্টি সরবরাহ করে: বিশেষজ্ঞ অভিমত

ছবি: বাসস

রাজশাহী, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজশাহীতে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মাতৃদুগ্ধ শিশুদের আদর্শ পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে সংক্রমণ থেকে রক্ষার অ্যান্টিবডি থাকে।

তারা বলেন, শিশুকে প্রথম ছয় মাস শুধু মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে মায়েদের উৎসাহিত করা এবং মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর প্রচারণাকে সফল করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

আজ রাজশাহী মহানগরীতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি পরবর্তী এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন। সভাটি জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়।

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলুন’। এর সঙ্গে যুক্ত করে বলা হয়, ‘মাতৃদুগ্ধ পানে বিনিয়োগ করুন, ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করুন’।

এই দ্বৈত প্রতিপাদ্য দীর্ঘমেয়াদি, শক্তিশালী সহায়ক কাঠামো ও নীতি প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে, যা মায়েদের সহজে স্তন্যপান করাতে সহায়ক হবে এবং ফলে মানুষের ও পরিবেশের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

সভায় সিভিল সার্জন ডা. রাজিউল করিম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবা খাতুন, মেডিকেল অফিসার ডা. বাইয়েজিদ-উল-ইসলাম এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন।

বিশেষজ্ঞরা শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশে মাতৃদুগ্ধ পানের সুবিধা প্রচারে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান।

তাদের মতে, মাতৃদুগ্ধ পানকে উৎসাহিত করা একটি সম্মিলিত দায়িত্ব। এতে সরকারি সংস্থা, এনজিও, উন্নয়ন অংশীদার এবং মিডিয়ার অবদান রাখা  প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা নাফেয়ালা নাসরিনও বক্তব্য দেন।

ডা. রাজিউল করিম বলেন, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধ পান অপরিহার্য।  কারণ এটি শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার সবচেয়ে ভালো উপায়। তাই সকল ক্ষেত্র, বিশেষ করে মিডিয়ায় বেশি প্রচারণা দরকার, যাতে প্রতিটি স্তন্যদানকারী মা তার শিশুকে প্রথম ছয় মাস শুধু মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত হন এবং অন্য কোনো অতিরিক্ত খাবারের ওপর নির্ভর না করেন।

সরকার মাতৃদুগ্ধকে গুরুত্ব দিয়েছে। এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান এবং হাসপাতালগুলোতে দুগ্ধ পান কর্নার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।