বাসস
  ২৯ জুন ২০২৫, ২০:৩৯

খুলনা ও লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান  

খুলনা ও লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান। ছবি : বাসস  

ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস): খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় যানবাহনের অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানকালে ১টি মামলায় ৫'শ টাকা জরিমানা আদায় এবং কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।

একই দিনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ অনুসারে লালমনিরহাট, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোর জেলায় ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৭টি মামলার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে ২৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ এবং সংশ্লিষ্ট চালকদের সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করা হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২ অনুসারে লালমাটিয়া ও খিলগাঁও এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ২টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক এবং খোলা জায়গায় রাখা নির্মাণ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।

এছাড়াও আজ খুলনা ও রাজবাড়ী জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার অভিযোগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এসময় ৫৪৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ও অবৈধভাবে পরিচালিত কয়লা উৎপাদনকারী কয়েকটি চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্নার ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দেশব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত সারা দেশে কালো বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোট ১ হাজার ১১০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ২ হাজার ৬৩৭টি মামলার মাধ্যমে ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বায়ু দূষণকারী ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা ও স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সীসা ও ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং নির্মাণ সামগ্রী এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

এ সময় ৪৮২টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮৬টি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সীসা ও ব্যাটারি গলানোর ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রপাতি জব্দপূর্বক কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, ভবিষ্যতেও পরিবেশ দূষণ বিরোধী অভিযান এবং পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।