ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশন আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও ফসল তোলার পরবর্তী ক্ষতি কমাতে বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশন এ সেমিনারের আয়োজন করে। এর উদ্দেশ্য হলো শস্য ও তেলবীজ সংরক্ষণের কার্যকর পদ্ধতি উন্নয়ন করা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার লেথব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-চ্যান্সেলর ড. ডিজভির জয়াস। তিনি জলবায়ুগত বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে শস্যের গুণমান বজায় রাখা এবং নষ্ট হওয়া কমাতে দীর্ঘদিনের গবেষণা ও উদ্ভাবনের আলোকে বিজ্ঞানসম্মত কৌশল তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, কানাডা উচ্চমানের শস্য ও তেলবীজ রপ্তানিতে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ।

তিনি বলেন, কানাডা টেকসই কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের মতো অংশীদারদের সঙ্গে কৃষি-সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও কারিগরি দক্ষতা বিনিময়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সেমিনারে ফিলিপাইনের ম্যানিলা ভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিক কৃষি ও কৃষিজ খাদ্য কার্যালয়ে কর্মরত কানাডার ফুড ইনস্পেকশন এজেন্সি (সিএফআইএ)’র কাউন্সেলর নিতিন ভার্মা একটি প্রেজেন্টেশন দেন। এতে তিনি কানাডার শস্য খাতে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরেন এবং কৃষি পণ্যের ট্রেসিবিলিটি, মান নিশ্চয়তা ও উদ্ভাবনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

সেমিনারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম মাসুদুল হাসান, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন।

এই সেমিনার শস্য সংরক্ষণ, আধুনিক সংরক্ষণ প্রযুক্তি, মূল্য শৃঙ্খলার দক্ষতা ও দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে কারিগরি আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে উভয় দেশের মধ্যে পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ  ৩.২৭ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে দাঁড়িয়েছে। কৃষি, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে কাজ করছে।